রক্তদান (Blood Donation) মহৎ একটি কাজ। এই কাজের মাধ্যমে একটি মানুষের জীবন বাঁচানো যায়। তাই রক্তদানে অনিহা থাকার কথা হয়। তবে এক্ষেত্রে শুধু অন্যের জীবন বাঁচানোই নয়, নিজের স্বাস্থ্যেরও উন্নতি হয় রক্তদানে।
গোটা বছরই এদিক-ওদকি রক্তদান (Blood Donation) চলতে থাকে। কারণ হাসপাতালগুলির ব্লাড ব্যাংকে পর্যাপ্ত রক্তের যোগান না থাকলে দেখা দিতে পারে সমস্যা। এক্ষেত্রে বহু আশঙ্কাজনক রোগী ঢলে পড়তে পারেন মৃত্যুর কোলে। তাই প্রতিটি প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের উচিত রক্তদান করা।
যদিও বহু মানুষের মধ্যেই রক্তদান নিয়ে ভীতি রয়েছে। তাঁরা ভয়ে রক্তদান করতে চান না। এছাড়া একদল মানুষ তো কোনওমতেই রক্তদান করবেন না বলে পণ করেছেন। তাঁরা কোনও অবস্থাতেই রক্তদান করতে চান না। তবে অপরদিকে একদল মানুষ রয়েছেন যাঁরা মাঝে মাঝেই রক্তদান করেন। তাঁদের রাতবিরেতে রক্তদানে ডাকলে সাগ্রহে এগিয়ে আসেন।
চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা বরাবরই বলে এসেছেন, রক্তদান হল একটি মহৎ কাজ। এই কাজ করার মাধ্যমে আপনি একটি মানুষের জীবন বাঁচিয়ে দিচ্ছেন। সেই মানুষটি ও তাঁর পরিবারের মুখে গোটা জীবনের জন্য পৌঁছে দিচ্ছেন হাসির রসদ। তাই রক্তদানের ডাক আসলে কোনও সময়ই ফেরানো উচিত নয়।
রক্তদানের সময় শরীর থেকে নেওয়া হয় সামান্য রক্ত। এই রক্ত কয়েক ঘণ্টার মধ্যে খাওয়াদাওয়ার মাধ্যমে শরীর তৈরি করে নেয়। তাই চিন্তার কিছুই নেই।
বিশেষজ্ঞদের কথায় রক্তদান কেবল অন্যের জীবনই বাঁচায় না, পাশাপাশি আপনার শরীরেরও নানা উপকার করে।
বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষা- আপনি চাইলেই রক্তদান করতে পারবেন না। তার আগে আপনার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। এক্ষেত্রে ওজন, উচ্চতা, ব্লাডপ্রেশার সহ নানা ধরনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয়। সেই পরীক্ষায় পাস করেলই আপনি রক্তদান করতে পারেন। অবশ্য এই কারণে আপনার স্বাস্থ্য পরীক্ষাও হয়ে যায়। তাই এবার থেকে রক্তদান করুন।
রক্তদানে আয়রন টক্সিসিটি কমে- আমাদের শরীরে আয়রনের উপস্থিতি বাড়ার ঘটনাকে বলে আয়রন টক্সিসিটি। এই আয়রন টক্সিসিটি হৃদরোগ, দুশ্চিন্তা ইত্যাদি সমস্যা বাড়িয়ে দেয়। তবে বিজ্ঞানীরা বলছেন, শরীরে আয়রনের পরিমাণ কমাতে পারে রক্তদান। এক্ষেত্রে কমে আয়রন টক্সিসিট।
ক্যানসারের আশঙ্কা কমে- বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, শরীর আয়রন টক্সিসিটি থেকে দেখা দিতে পারে মারাত্মক সমস্যা। এমনকী ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়াও সম্ভব। তাই রক্তদান করতেই হবে।
লিভারে সমস্যা- এমনকী বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, রক্তদান করলে শরীর থেকে এমন কিছু পদার্থ বাইরে বেরিয়ে যেতে পারে যা লিভারের ক্ষতি করে। তাই লিভারকে সুস্থ রাখতে চাইলেও রক্তদান করা উচিত।