প্রতি বছর ১৪ জুন বিশ্বব্যাপী ‘বিশ্ব রক্তদাতা দিবস’ পালিত হয়। এই দিবসটি উদযাপনের উদ্দেশ্য হল, রক্তদান সম্পর্কে মানুষের মধ্যে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়া এবং যাঁরা স্বেচ্ছায় রক্তদান করে লাখ লাখ মানুষের প্রাণ বাঁচাচ্ছেন তাঁদের এই দিনটিতে ধন্যবাদও জানানো হয়।
অনেকেই ভেবে থাকেন, রক্তদান করলে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় ভুগতে হবে। কিন্তু এই ধারণাটি একেবারেই ঠিক নয়! রক্তদানের অনেক উপকারিতা আছে –
ওজন কমানো নিয়মিত রক্তদান করার ফলে ওজন হ্রাস করতে সহায়তা করে এবং ফিটনেসের উন্নতি হয়। ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের মতে, ৪৫০ মিলিলিটার রক্তদান করলে আপনার দেহের ৬৫০ ক্যালোরি হ্রাস হয়। তবে, আপনার ওজন হ্রাস করার উদ্দেশ্যে এটি করা একদমই উচিত নয়। যেকোনও প্রকার স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সমস্যা এড়ানোর জন্য, রক্তদেওয়ার আগে দয়া করে ডাক্তারের কাছে চেকআপ করান।
হিমোক্রোমাটোসিস প্রতিরোধ করে রক্ত দানের মাধ্যমে, আপনি হিমোক্রোমাটোসিসের ঝুঁকি থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারেন। দেহে অতিরিক্ত লৌহের উপস্থিতিতে এই রোগ হয়। এই রোগে লৌহ বা আয়রন বিভিন্ন অঙ্গে জমা হতে থাকে, এমনকি হার্টেও। নিয়মিত রক্তদানের ফলে শরীরে আয়রনের অতিরিক্ত মাত্রা হ্রাস হয়, যা হিমোক্রোমাটোসিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য উপকারি হতে পারে।
হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করে রক্তদানের ফলে শরীরে প্রয়োজনীয় পরিমাণ আয়রন বজায় রাখতে সহায়তা করে, যা হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করে। এছাড়াও, হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক ইত্যাদির ঝুঁকি হ্রাস করে।
লিভার এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস করে দেহে থাকা আয়রনের অতিরিক্ত মাত্রা, ক্যান্সারের ঝুঁকির সাথে সরাসরি সম্পর্কিত। এইজন্য রক্তদানের মাধ্যমে আপনি শরীরে আয়রনের একটি স্বাস্থ্যকর মাত্রা বজায় রাখতে পারেন, যা ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি কমায়। এছাড়া, লিভার সম্পর্কিত রোগের ঝুঁকিও হ্রাস পায়।
মানসিক শান্তি রক্তদান করার মাধ্যমে আপনি মানসিক শান্তি পেতে পারেন। আপনার রক্তদান অনেক রোগীর জীবন বাঁচাতে পারে। তাই, প্রতিটি সুস্থ ব্যক্তির তিন মাস অন্তর রক্তদান করা উচিত। Disclaimer : এই আর্টিকেলে দেওয়া সমস্ত তথ্য সাধারণ অনুমান এবং তথ্যের উপর ভিত্তি করে লেখা। কোনও কিছু করার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের সহায়তা নেবেন এবং তাদের পরামর্শ মেনে চলবেন।